ক্রীড়া ডেস্ক: পিছিয়ে পড়েও মজিবুর রহমান জনি ও পাপন সিংয়ের নিশানাভেদে ফিফা প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দল তাদের বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাপনের অন্তিম মুহূর্তের গোলে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
২০২৪ সালে আট আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভেতর বাংলাদেশ প্রথম জয়ের দেখা পেল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে তারা একমাত্র গোলে হেরেছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলার প্রথম মিনিটেই বাংলাদেশের সামনে এসেছিল সুযোগ। কিক অফের পর সতীর্থের লম্বা পাসে শেখ মোরসালিন অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের হাতে বল চলে যায়।
ডি বক্সের কাছে তপু বর্মণের ভুল পাসে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় বল পেয়ে যান। তার পাসে বল নিয়ে বাঁ-পায়ের প্লেসিং শটে ২৩ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার আলী ফাসির। প্রথম ম্যাচে তার গোলেই হেরেছিল লাল-সবুজের দল।
গোছানো আক্রমণ থেকে বাঁ-প্রান্তে থাকা রাকিবের ক্রসে বল নেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তার জোরালো শট লাফিয়ে ঠেকান মালদ্বীপের গোলরক্ষক হোসেন শরিফ। ফিরতি বলে মোরসালিনের শট পোস্টের বেশ উপর দিয়ে চলে যায়।
সৈয়দ শাহ কাজেমের পরিবর্তে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া জনি বক্সের বাইরে বল পেয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক পা থেকে আরেক পায়ে বল নেয়ায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আকস্মিক তার কোণাকুণি শট গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়েও রক্ষা করতে পারেননি। ৪৩ মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঈসা ফয়সালের বদলে মাঠে নামেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। ৫০ মিনিটের মাথায় রাকিব হোসেনের শট লাফিয়ে ডান হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সফরকারী দলের গোলরক্ষক শরিফ। তিন মিনিট পর আহমেদ রিজুভাবের শট সেভ করে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
৭১ মিনিটের মাথায় দুটি পরিবর্তন আনেন কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। গোলদাতা জনির বদলে চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জায়গায় শাহরিয়ার ইমনকে খেলতে নামান। পাঁচ মিনিট পর মোরসালিনের স্থানে নেমে জাতীয় দলের জার্সিতে পিয়াস আহমেদ নোভার অভিষেক হয়।
অভিষিক্ত নোভা ৮৪ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। ইমনের শটে বল ধরতে পারেননি মালদ্বীপের গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেয়েও তা ফাঁকা জালে জড়াতে ব্যর্থ হননোভা।
ক্যাবরেরা নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষদিকে নেন মাস্টারক্লাস সিদ্ধান্ত। অধিনায়কের আর্মিব্যান্ড পরে থাকা সোহেল রানাকে বেঞ্চে বসিয়ে পাপন সিংকে নামিয়ে দেন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে তিনি বনে যান সুপার সাব। ইমনের পাসে ডানপায়ের ভলিতে জয়সূচক গোলটি আদায় করে নেন। জাতীয় দলের হয়ে এটিই তার প্রথম গোল।