আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬       বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদি ফিরবে লাশ হয়ে      

 width=
 

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেন ত্ব-হা

রবিবার, ২০ জুন ২০২১, রাত ০৯:২১

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান (মোঃ আফছানুল আদনান) নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত কারও কথার সঙ্গে কারও কথার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে ত্ব-হার ১ম স্ত্রী ও ২য় স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে ।

ত্ব-হার মা দুপুরে আজেদা বেগম বলেন, ‘বিয়ের খবর আমি কিছুদিন পরে পাইছি। আমি শুনেছি ত্ব-হাকে ট্রাপে ফেলানো হয়েছে। খুব মানসিক অত্যাচার করত, ডিস্টার্ব করত। খুবই অশান্তিতে ছিল ত্ব-হা।’

প্রথম স্ত্রী আবিদা নূরের বাবা আজহারুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘আমি এই ঘটনাগুলো হবার পর ফেসবুক আর মানুষের কাছে শুনতেছি যে, জামাই ঢাকাত বিয়ে করছে। এর আগে আমি জানি না।’

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের মতোই ঘটনা। নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে অবরুদ্ধ হয়ে সঙ্গিনীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করার পর তার কথিত দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গ আসে সামনে। ক্রিকেটার থেকে ধর্মীয় আলোচক বনে যাওয়া আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গও এলো তার উধাও হয়ে যাওয়ার পর। তার আগ পর্যন্ত ত্ব-হার স্বজন, প্রথম স্ত্রীর পরিবার কিছুই জানতে পারেনি। তার মা আজেদা বেগমও বিয়ের কথাটি জানেননি তাৎক্ষণিক। পরে একটি মাধ্যমে জানার পর আর কাউকে জানাননি। আজেদা তার ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুব একটা যে পছন্দ করেন না, সেটা জানিয়েছেন।

১০ জুন ত্ব-হা ঢাকায় আসার পথে নিখোঁজ হওয়ার দাবি প্রথমে সামনে আনেন তার স্ত্রী পরিচয়ে সাবিকুন্নাহার সারা। তখনও জানা যায়নি তিনি যে দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে ২য় সাবিকুন্নাহার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার স্বামীকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেন; সংবাদ সম্মেলন করেন, বেসরকারি টেলিভিশনে দেন দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। বিশেষ করে সংবাদ সম্মেলনে তার রাখা আবেগঘন বক্তব্য, ‘ত্ব-হাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন, না হলে তার কাছে আমাকে নিয়ে যান’ পায় বিশেষ গুরুত্ব। সাবিকুন্নাহারের এই সামনে আসায় চমকে ওঠেন ত্ব-হার স্বজন ও পরিবারের লোকজন। পরিবারের অনেকেই এই বিয়ের খবর জানতেন না।

ত্ব-হার মা আজেদা বেগম বলেন, ‘বিয়ের খবর আমি কিছুদিন পরে পাইছি। আমি শুনেছি ত্ব-হাকে ট্রাপে ফেলানো হয়েছে। খুব মানসিক অত্যাচার করত, ডিস্টার্ব করত। খুবই অশান্তিতে ছিল ত্ব-হা।'

ত্ব-হার মামা আমিনুল ইসলাম (মা-মামা একই বাড়িতে থাকেন) বলেন, ‘আমরা বিয়ের খবর জানতাম না। এই ঘটনার (নিখোঁজ) পর মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি, সে বিয়ে করেছে। এর বেশি কিছুই জানি না।’

ত্ব-হার প্রথম স্ত্রী আবিদা নূরের বাবা আজহারুল ইসলাম মন্ডলও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘আমি এই ঘটনাগুলো হবার পর ফেসবুক আর মানুষের কাছে শুনতেছি যে, জামাই ঢাকাত বিয়ে করছে। এর আগে আমি জানি না।’

আবিদার সঙ্গে ত্ব-হার বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। দেড় মাস আগে আবিদা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর আগ পর্যন্ত রংপুরের শালবনের চেয়ারম্যানের গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। তবে এখন আবহাওয়া অফিসের কাছে বাবার বাড়িতে আছেন। ত্ব-হার মা থাকেন নগরীর সেন্ট্রাল রোডে আহলে হাদিস মসজিদের পাশে পারিবারিক বাসভবনে। আর শুক্রবার রাতে আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি ওঠেন মায়ের কাছেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied