নিউজ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। মধ্যপন্থি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ উপদেষ্টাকে দলে যোগ দিতে হলে পদত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিটি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই আলোচনায় আসে ছাত্র-জনতার রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি।
এরই অংশ হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। যার নেতৃত্বে আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। সারাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় দল গঠনের জন্য কাজ করছে এই কমিটি। এরই মধ্যে আড়াইশর বেশি থানায় কমিটি দেয়া হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আকরাম হুসাইন বলেন, ‘বর্তমানে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের থানা কমিটিগুলো হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের ওয়ার্ড কমিটিগুলো হওয়া শুরু হয়েছে। এরমধ্যে আমরা যে নির্দিষ্ট ডেট তার মধ্যে মোটামুটি সকল থানা ও জেলায় কমিটি করে ফেলতে পারব।’
আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দল ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি থাকবে। এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। তবে এখনও নাম ঠিক করা হয়নি বলে জানিয়েছে কমিটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই কাজ করছিলাম। এখন এটা ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। কারণ সামনে রোজা আছে। মার্চেই রোজা শুরু হয়ে যাবে। এর আগেই আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দলটা চলে আসবে। আর অন্যান্য কিছু বিষয় থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’
দলে সব বয়সীদের অংশগ্রহণ থাকবে। তবে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ৩ উপদেষ্টা দলে যোগ দিতে চাইলে তাদের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছে নাগরিক কমিটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘সকলেরই একটা রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকতে পারে। রাজনৈতিক দলের ইচ্ছা থাকতে পারে, অংশগ্রহণের ইচ্ছা থাকতে পারে। যার বা যাদের এই ইচ্ছাটা থাকবে তারা অবশ্যই সরকার থেকে বেড়িয়ে, এখন যে অন্তর্বর্তী সরকার সেখান থেকে পদত্যাগ করে তারপরে রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করবেন।’
দল ঘোষণার পর নির্বাচক কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে।