ডেস্ক: থার্মোমিটারের পারদ ১১ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করলেও ৭ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার আভাস রয়েছে।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে। আর সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কমবে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কি.মি.।
সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হবে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শনিবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায় ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে ৩৪ মিলিমিটার।
রোববার থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে, তা হবে বছরের চতুর্থ ও মৌসুমের পঞ্চম শৈত্য প্রবাহ। চলতি শীতে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।