শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর: বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্র বিরোধী চক্র আজও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, "এবারের ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে প্রচারনায় গিয়ে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে ৯২ বয়সের বৃদ্ধা কামবালকে আমি যখন নৌকা প্রতীকের লিফলেট ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছিলাম, তখন তিনি আমাকে বলছিলেন, 'আমাকে এই মার্কা চেনাতে হবেনা, বঙ্গবন্ধুকে চেনাতে হবেনা,আমি চিনি ও জানি। আমি নৌকার লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমি নৌকায় ভোট দিব।'
সেদিন ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তিনি দেখিয়েছেন। কামবালার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, কামবালা হচ্ছেন 'ভোটার অব দ্যা ইলেকশন।"
আজ রোববার (২জুন) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে কামবালা নিবাস হস্তান্তর ও কামবালা সড়কের উদ্বোধনি সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, 'সরকারের মধ্যে ডুকে থেকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আজকে কতিপয় গোষ্ঠী মহাপরিকল্পনা করছে। সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। এটা ভেবেই তাদের এই ষড়যন্ত্র।'
এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা হয়েছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি এতদিন রাজনীতি করেও যেটা শিক্ষা লাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখ নির্বাচনী প্রচারণা অংশ নিয়েছিলাম। সেই পথ সভাটি জনসভা রূপ নেয়। সেদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে এত মানুষের ভিড় ঠেলে বৃদ্ধা কামবালা যিনি তার প্রার্থীকে চিনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমথর্ন করেন, যে দলের প্রতি তার ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তার বিশ্বাস আছে, সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় তার যৎসামান্য সঞ্চয়ের অর্থ ভোটে খরচ করার জন্য তুলে দিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিমন্ত্রী খালিদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রতি কামবালা বেওয়ার অগাধ বিশ্বাস আছে সেদিন প্রার্থী হিসেবে আমাকেও পরাজিত করেছিল। আমি যখন নৌকার তাকে (কামবালাকে) ব্যাচ পরিয়ে দিতে দিচ্ছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন-আমি এই প্রতীক চিনি, এই প্রতীক আমাকে চিনাতে হবে না। নৌকার মার্কার প্রতি তার অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, তা দেখে একজন প্রার্থীও একজন ভোটারের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল।'
এ সময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।