আর্কাইভ  বুধবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ● ৯ মাঘ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২৫
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজারহাটে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত       যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার       রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু       সাংবাদিক দম্পতি শাকিল–ফারজানার জামিন স্থগিত       তীব্র শীত ও ঠান্ডায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ      

 

বেরোবিতে পরীক্ষা না দিয়েও পাস ছাত্রলীগ নেত্রী

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ০৬:৫২

বেরোবি প্রতিনিধি ;  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশীকে পরীক্ষা না দেয়া সত্ত্বেও পাস করানোর অভিযোগ উঠেছে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) এ খবর জানাজানি হলে বেরোবি ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয় আলোচনা- সমালোচনা। সহপাঠীরা বলছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশীকে ছাড়াই গত ডিসেম্বর মাসে গণিত বিভাগের মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের ৫১০২ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরীক্ষা না দিলেও ঐশীর ফলাফল এসেছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা যায়, সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী ছাত্রলীগের বেরোবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রথম সারিতে থাকতেন তিনি। গত ১৬ জুলাই শহিদ আবু সাইদ হত্যার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি। 

এ বিষয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশীর সহপাঠীরা বলেন, ওই কোর্সের পরীক্ষার দিন সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশীকে আমাদের সাথে পরীক্ষা দিতে দেখিনি। তবে অন্য সময় বা অন্য কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে কিনা বলতে পারছি না। তবে সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশীর মুঠোফোনে একাধিবার কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই পরীক্ষা দিয়েছি, তবে কবে দিয়েছি তারিখটা মনে নেই। 

এ বিষয়ে কোর্স টিচার অধ্যাপক ড. রুহুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, আমি পরীক্ষা জুলাই-আগস্টের আগেই নিয়েছি। মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের সব বিষয় আগেই শেষ করে ফেলছি আমরা। তখন সে পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যাচের সিআরের দেয়া পরীক্ষার নোটিশ থেকে জানা যায়, গণিত বিভাগের মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের ৫১০২ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর। 

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট কোর্স টিচাররা এসব দেখাশোনা করেন। তারা আমাদের রেজাল্ট দেন। আমরা সেটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠাই।  গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ওই শিক্ষার্থীকে বিভাগে কখনো দেখিনি। তার পরীক্ষার বিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied