বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, নির্মাতা এবং নন্দিত লেখক হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় ছেলে নিষাদ হুমায়ুনসহ আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সামজাক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান শাওন নিজেই।
ফেসবুকে তিনি লেখেন- ঘটনা খুবই সরল ও অনাড়ম্বরপূর্ণ। বড় ব্যাটা নিষাদ হুমায়ূনকে নিয়ে গিয়েছিলাম নিউমার্কেট, তার বাবার প্রিয় বাজারে। সুন্দরভাবে কাজ শেষ করে গাড়ির কাছে ফিরছিলাম। জুম্মার সময়, দুপুর ১টা ৫৫… নিউমার্কেটের ভিতরের অংশের চলাচলের রাস্তায় বসা মুসুল্লীদের নামাজ প্রায় শেষের দিকে। রাস্তা একদম ফাঁকা। ডান বাম ভালো করে দেখে যেই না রাস্তা পার হওয়া ধরেছি, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে এলো ‘বাংলার টেসলা’ খ্যাত এক ইঞ্জিন চালিত রিকশা! কোনোরকম বেলের টুংটাং না করে “আআআপুউউউ… সরেএএএন!” বলে ডাক দেয়া আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩ যাত্রীসহ চালক মহাশয় এক সজোর ধাক্কা দিলেন! প্রবল বেগের সেই ধাক্কায় আমি ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে রাস্তায় পড়ে গেলাম আর ‘বাংলার টেসলা’র পেছনের চাকা আমার বাম পা’এর উপর দিয়ে চলে গেল।
চালকের উদ্দেশে তিনি লেখেন- টেসলার চালককে ধন্যবাদ তিনি পালিয়ে না গিয়ে নিজের দোষ কিছুটা স্বীকার করেছেন। আশপাশ থেকে ছুটে আসা মানুষদের ধন্যবাদ নানা জ্ঞান গিয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টার জন্য। কৃতজ্ঞতা সেই চা দোকানদারের প্রতি যিনি নিজ দোকানের ফিল্টার পানির জার পুরোটা ঢেলে আমার পায়ে তাৎক্ষনিক আরাম দিয়েছেন।
তার সঙ্গে থাকা অর্পিতা নামে একজনকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন- তুই সাথে না থাকলে কিভাবে যে ঐ সময়টুকু সামলাতাম জানি না। চোখের সামনে থেকে অন্ধকার সরার পর দেখলাম নিজের পুরো শরীরের ভার তোর উপর ছেড়ে আমি ঢলে পড়েছি আর তুই ঠাণ্ডা মাথায় আমাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিস, পাশাপাশি ঘটনার আকস্মিকতায় নার্ভাস হয়ে পড়া নিষাদকে সামাল দিচ্ছিস! শুধু মুখে মুখে ‘শাওন মা’ না… তুই আমার শক্তপোক্ত মেয়ের দায়িত্ব-ই পালন করে দেখালি।
এছাড়া তিনি লেখেন [হাসপাতালের আপডেটঃ পরম করুণময় আল্লাহর দয়ায় পা ভাঙেনি। তবে পেশী ও কোমল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পূর্ণ বিশ্রাম আর ওষুধে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেরে যাবে। যে সকল ছা*লশাবকেরা ব্যান্ডেজ করা পায়ের ছবিতে ‘হা হা’ অনুভূতি দেখিয়েছেন, তাদের আশার গুড়ে বালি।]