আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৪ ● ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবেনা: দুলু       ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দল আসা প্রয়োজন: সারজিস       রংপুরে বীজ আলুতেও সিন্ডিকেট!       শেখ হাসিনাকে ফেরাতে কোনো নির্দেশনা নেই: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র       সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঢুকে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ তাসনুভার      

 

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে ফের উৎপাদন শুরু

শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৬:৪৬

দিনাজপুর: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে এ উৎপাদন শুরু হয়। এর আগে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৩১ জুলাই তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এ ইউনিটে প্রতিদিন ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।

তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিটে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন।

তবে, তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

এ বিষয়ে কথা হয় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে তৃতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে, তা থেকে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এটি চালু করতে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। তৃতীয় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৪ বছর ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। করোনার সময়ে চীনা কোম্পানি সময় সময় দিতে পারেনি এবং বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২ নম্বর ইউনিটটির সংস্কার কাজ পিছিয়ে পড়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied