ডেস্ক: আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। একসঙ্গে হাজির হয়েছে এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণ। শূন্য থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ আজ পূর্ণতার পথে। দারিদ্র্যপীড়িত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন, অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে ৫০ বছরে। নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য এক নজির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামোতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
বাংলাদেশের এবারের বিজয় দিবসটি অন্য বিজয় দিবসের তুলনায় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশ এবার তার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পার করছে। একইসঙ্গে পার করছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীও। দেশের ইতিহাসে বিশেষ এই দুটি ঘটনা একইসঙ্গে পালন বিশেষ মাত্রা যুক্ত করেছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বিজয় দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে।
ভোরে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের সূত্রপাত করা হবে। অন্যান্য সময় ৩১ বার তোপধ্বনি হলেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার তোপধ্বনি ৫০ বার দেওয়া হবে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।