আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ● ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: সনাতনীরা কোন নির্দিষ্ট দলের কিংবা রাজনৈতিক দলের সমর্থন করে না       ছাত্রলীগ টিকেটেই শত কোটির মালিক এই নেতারা: নেপথ্য কাহিনী       পলাতক স্বৈরাচাররা ’চট’ করে ফেরে না কখনও!       বিগত সরকার রেলের উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছে- রেলপথ উপদেষ্টা       কোনো দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা নেই- জামায়াতের আমির      

 

রংপুরের আ. লীগ নেতা তুষার কান্তির আরো চার দিনের রিমান্ড

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ০২:৫০

মমিনুল ইসলাম রিপন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সোয়েবুর রহমান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মণ্ডলকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল ইসলাম আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মিলন হত্যা মামলায় তুষার কান্তি মণ্ডলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। পুলিশ রিমান্ড শেষে আগামী ৫ অক্টোবর আসামিকে আদালতে হাজির করতে দিন ধার্য করা হয়।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাভার থেকে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চারটি হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

গ্রেপ্তারের পর তুষার কান্তি মণ্ডলকে দুই দফায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে ছিলেন তুষার কান্তি মণ্ডল। 

এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ হত্যা মামলায় তুষার কান্তি মণ্ডলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আসামি তুষার কান্তি মণ্ডলকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল।

রিমান্ডে নেয়া তুষার কান্তি মণ্ডলের বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও সমবায় ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাটসহ আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। তিনি রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার পক্ষে কাজ না করায় তার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied