অনলাইন ডেস্ক: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জাল সনদে চাকুরিরত ২০২ শিক্ষকের যে তালিকা প্রকাশ করেছে এর মধ্যে রংপুরের আছেন ১৭ জন। অবিশ্বাস্যভাবে রংপুরের মাহিগঞ্জ কলেজেরই রয়েছে ৬জন।
তারা হলেন, সদর উপজেলার শ্যামপুর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামিমা আক্তার, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো: রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মোছাঃ আবিদা সুলতানা ও ফৌজিয়া বেগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জেসমিন আরা জাহান, মো: সেকেন্দার বাদশা ও দর্শন বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ হাবিবা আক্তার। অন্যরা হলেন, রংপুরের পীরগাছা কলেজের ভুগোল বিভাগের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়, শরীর চর্চা শিক্ষক মো: মশিউর রহমান, পাকুড়িয়া শরীফ কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো: আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল বাতেন।
গঙ্গাচড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ সুলতানা আফরোজ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো: খালেকুর রহমান, পীরগঞ্জ রংপুরের ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রী কলেজের কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও মো: রেজোয়ান সরকার এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়া ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মো: নুরুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জাল শিক্ষকদের এই তালিকা প্রকাশ করেছে। মাউশি অধিদপ্তর জানিয়েছে, তালিকায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য পাঠানো হয়েছে এবং একই চিঠিতে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে এ অধিদপ্তর যথাযথ প্রক্রিয়ায় কিছু ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। তালিকায় এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ৭টি বিষয়ের মধ্যে কী- কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার দফাওয়ারি জবাব দেবে।
১০ দিন কার্যদিবসের মধ্যে এই জবাব অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ৭ দফা নির্দেশনা হলো- ১. জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা ২. অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ ৩. যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল করা ৪. যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা ৫. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা-কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো। ৬. জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের ৭. জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।