অনলাইন ডেস্ক: বিসর্জনের মধ্যে রবিবার সারা দেশের ন্যায় রংপুরে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। কঠোর নিরাপত্তায় দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের এই উৎসব। রংপুর নগরীর মুলাটোল পুকুরসহ আরও কয়েকটি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
মুলাটোল পুকুর ছিল পানি শূন্য। প্রতিমা বিসর্জন হবে কীভাবে। এই চিন্তা যখন ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। তখন প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়টি মাথায় নিয়ে গত বুধবার থেকে রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুকুরে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করে পুকুরে পানি ছাড়া হয়। পানিতে পুকুরটি পরিপূর্ণ হলে রবিবার সন্ধ্যার পরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এসময় হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শারদীয় দূর্গাপুজার বিজয়া দশমী ও বিসর্জন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট সুরভী উদ্যানের পাশে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর মেজর রিয়াজ, রংপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম শিবলী, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহাফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, বৈষম্যবিরোধী নাগরিক ঐক্য রংপুর মহানগরের সদস্য সচিব দিলিপ চন্দ্র ঘোষ, গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মেট্রোপলিটন থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ সরকার, রংপুর কালিবাড়ী মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল বাগচী প্রমুখ।
রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপক হাসান রাফি বলেন, মুলাটোল পুকুরে পানি ছিল না। গত ৫ দিন ধরে এক নাগারে শ্যালো দিয়ে পানি উত্তোলন করে পুকুরে দেওয়া হয়েছে। শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।