ডেস্ক: রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ও নাগরিক সেবা সচল রাখতে ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রাণী রায় স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ২৫ (ক) (২) মোতাবেক গঠিত কমিটিকে ২৫(ক)-এর উপধারা (৩)-এর আলোকে নিম্নলিখিত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রায়হান কবির ২০ ও ২৫ নং ওয়ার্ড, বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার-২ (উত্তরাঞ্চল) এজেডএম তাইয়ার ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড, গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম ২ ও ১৬নং ওয়ার্ড।
সওজ-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম ৫ ও ১০নং ওয়ার্ড, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর ১ ও ২৪ নং ওয়ার্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকাশনী হাসনাত জামান ২১ ও ৩১ নং ওয়ার্ড, উপপরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. ওয়াজেদ আলী ১ ও ১০ নং ওয়ার্ড।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান পিএফএম ৭, ১৭ ও ৩৩ নং ওয়ার্ড, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ গণিকে ১০, ২২ ও ২নং ওয়ার্ড, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় ১১, ১২ ও ১৪ নং ওয়ার্ড।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আকিদুল ইসলাম ১৫ ও ২৮নং ওয়ার্ড এবং সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রংপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নাগরিক সেবা সচল করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করলে নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।’