আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ● ২ আশ্বিন ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: 'আমরা অথরিটি না,আমরা প্রেসার গ্রুপ'-রংপুরে সারজিস আলম       সুবা রঙ্গপুর থেকে রংপুর মহানগর পুলিশের ছয় বছরপূর্তি ও কিছু কথা       উত্তরবঙ্গ ব্লকেড' কর্মসূচিতে ঘন্টাব্যাপী অবরোধ ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক       আসাদুজ্জামান নূর গ্রেফতার       মুরগি-ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করল সরকার      

 width=
 

রিমান্ডে কান্নাকাটি করছে পলক

সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, সকাল ০৯:৩২

ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে এক দাবির আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাঁচ জন ভিআইপি আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। রাজধানীর নিউমার্কেট ও পল্টন থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, মামলাগুলো এখনও থানা পুলিশের কাছেই তদন্তাধীন। তবে ভিআইপি আসামি হিসেবে তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই তদন্ত কর্মকর্তাসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতারের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়েও তিনি তার দায় অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, প্রতিমন্ত্রী হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার একক কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না।

জিজ্ঞাসাবাদে পলক জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও এনটিএমসির মহাপরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশনা মেনে তিনি ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায় ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্রের দাবি, ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এত দ্রুত সরকারের পতন হতে পারে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। যদিও একদিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। পলকের ভাষ্য, চাইলে তিনিও দেশ ছেড়ে পালাতে পারতেন। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বেঈমানি করা হবে’ বলে তিনি যাননি।

ভিআইপি আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আসামিদের সবাইকে অন্যান্য সাধারণ আসামিদের মতোই ডিবির গারদখানায় রাখা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ওষুধ ও খাবার দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied