আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ● ৪ আশ্বিন ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের মতবিনিময়        নীলফামারীর নবাগত ডিসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়       নীলফামারীতে শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন       সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব       রংপুর মেট্রোপলিটনের ৬ থানায় নতুন ওসি      

 width=
 

লালমনিরহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪, বিকাল ০৫:৩৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: চলমান পরিস্থিতিতে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে লালমনিরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

রবিবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে জেলার প্রানকেন্দ্র মিশনমোড় গোল চত্বরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ প্রতিবাদ সভা ও মিছিল হয়।

লালমনিরহাট জেলার সাধারণ হিন্দুরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা সরকার ও প্রশাসনের কাছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আজ আমরা আমাদের বাড়িঘর ও মন্দিরে কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু এখন শুধু আত্মরক্ষা করলেই হবে না, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, “এই মাটি আমাদের, আমরা এই দেশের নাগরিক। এটা আমাদের পিতৃপুরুষের সম্পত্তি। আমরা আর নিজ গৃহে পরবাসী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা কোথাও যেতে চাই না।

হিন্দু নেতারা ১৯৭১ সালে তাদের ধর্মের মানুষজনের ওপর হামলার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারা বলেন, সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানান।

তারা বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। দেশের প্রত্যেকটি আন্দোলন, সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা স্বতস্ফূর্ত অংশ নিয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। এতো কিছু করার পরও কেন সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হচ্ছে?

সমাবেশে পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি হিরা লাল রায়, সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা বিধুভূষণ রায়, ইসকন সভাপতিসহ হিন্দু মহাজোটের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নেতারা সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করার আহবান জানান। সেইসাথে আইন শৃঙ্খলা ও সকল দলের নেতাকর্মীদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। পরে লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন ও বিএনপি নেতা একেএম মমিনুল হক সমাবেশে বক্তব্য দেন সংহতি জানান।

এর আগে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে মিশনমোড় গোল চত্বরে এসে জড়ো হতে থাকে। এক সময় মিশনমোড় এলাকা লোকে লোকারোন্য হয়ে পড়ে। লোকজনের ভিরে এ সময় লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক শত শত যানবাহক আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি সমাবেশ চলে। পরে তারা মিছিল নিয়ে গোশালা বাজার মন্দির অভিমুখে রওয়ানা দেয়। মিছিলটি শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকায় পৌছালে সেখানকার একটি ভবনের ছাদ থেকে দুষ্কৃতকারীরা ঢিল ছুড়ে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়। এ সময় মিছিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই ভবনে মিছিলকারীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied