স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমারে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী মা হওয়ার ঘটনায় সাড়ে চার মাস পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তবর্তী ষোলঘড়িয়া মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং মোবাইল ফোন ট্যাকিং করে মামলা এক নম্বর প্রধান আসামী তহিদুল ইসলাম ওরফে গাঠিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার(১১ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার তহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা গ্রামের সনাতন ধর্মের বাদ্যকার সম্প্রদায়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারী দুপুরে প্রতিবেশী মৃত ছকমল আলীর ছেলে তহিদুল ইসলাম ওরফে গাঠি (৪৩), মৃত দাতুরামের ছেলে জলধর রায় ভুচলু (৫০) ও মৃত মেনাজ উদ্দিনের ছেলে বছির উদ্দিন (৫৫) ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেতে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এবং পরবর্তীতে ঘটনার ব্যাপারে কাউকে না বলার জন্য ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষণকারীরা।
কিছুদিন পর ছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন আসলে, সে তার মাকে ঘটনার বিবরণ দেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গর্ভবতীর বিষয়টি নিশ্চিত হলে ৩১ মে পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে ডোমার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। এভাবে দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৩০ আগস্ট ছাত্রীটি এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা।
উত্তর বাংলা / নী.নি