নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এক বছর আগে আমাকে যদি বলা হতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোনো প্রোগ্রামে সালাম দিতে পারবো সেই ব্যাপারটা ছিল অবিশ্বাস্য রকমেরট ঘটনা। কারণ, শুধু সালাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে কত মানুষের ওপর নিপিড়ন চালিয়েছে ডাইনি শেখ হাসিনা, তার কোনো হিসেব নাই। ইতিহাসে আই আম এ জাহেলিয়াত ছিল, আমি বলি যে শেখ হাসিনার রেজিমটা ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত। এ সময়ে এমন কোনো মানুষ নাই যে তার (শেখ হাসিনা) দ্বারা গুম, ঘুন এবং সর্বধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়নি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মায়ের ডাক সংগঠনের আয়োজনে আওয়ামী শাসনামলে গুম-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ মায়ের ডাকের প্রোগ্রাম যতটা উন্মুক্ত পরিবেশে হচ্ছে গতবছরও যদি এরকম হতো, আমি নিশ্চিত এই যে দাড়িটুপি পড়ে যত লোক আছেন তাদের অর্ধেক লোককে ধরে নিয়ে যেতে হাসিনার এজেন্ট চলে আসতো। যত বাচ্চা ও আহত লোক আছে আমরা কি তাদের কান্না মুছে দিতে পারছি? যতদিন আমরা মুছে দিতে পারবো না ততদিন মুক্ত বাংলাদেশ দাবি করা একটা অনৈতিক কাজ হবে বলে আমি মনে করি।’
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এতগুলো মানুষ মেরেও আওয়ামী লীগের ভেতরে কোনো রিমোর্সবোধ নাই। কারণ, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের ডিএনএ এর ভেতরে আছে। শেখ হাসিনা হঠাৎ করে ২০২৪ সালে এসে স্বৈরাচারি হয়ে যায়নি। ২০১১ সালের যেদিন থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছিল, সেদিন থেকেই শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এই বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার ছিলেন শেখ মুজিব। শেখ হাসিনা দেশে ভোট চুরি প্রথম করে নাই। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম ভোট চুরি হয়। গুম, খুন, নির্যাতন, প্রশাসনিক লুটপাট- এই একটা কাজও শেখ হাসিনার হাত দিয়ে শুরু করা না। প্রত্যেকটা কাজ শেখ মুজিবের হাত দিয়ে শুরু করা এবং এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে হাসিনা।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনা কখনো সিমপ্যাথী দেখায়নি। কারণ, স্বাধীন বাংলাদেশে এসে একজন গেরিলাযোদ্ধা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে এই দেশে এসে মরারও সুযোগ দেয়নি শেখ হাসিনা। তার আশেপাশে যত লোকছিল প্রত্যেকে লুটপাটের অংশীদার ছিল। ভয়ার্তভাবে আবির্ভূত হয়েছিল শেখ হাসিনা। সামনে জাতিগতভাবে ঐক্যটাকে ধরে রাখাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্চ। এই বাংলাদেশে সবাই থাকতে পারবে কিন্তু শুধুমাত্র শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই দেশে থাকতে পারবে না। এটা নিশ্চত করা আমদের অত্যান্ত জরুরি।’