ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাড়ে ১৫ বছরে দেশটা ধ্বংস করে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে গণহত্যা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে গুম করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে এত দ্রুত নিরাপদ ভাবার কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী সকল দলগুলো-যারা বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে যেমন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ বাংলাদেশ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রোববার দুপুর ১২ টায় ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে গণ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই আওয়ামী লীগকে ধংস্ব করেছে। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল রক্তপ্রবাহিত করে মানুষকে হত্যা করা। গোটা বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করার মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরেছিল সে। কিন্তু আন্দোলনের মুখে তার পতন হয়েছে। নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে ফেলে স্বার্থপরের মতো নিজে ও নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন সেখান থেকে ষড়যন্ত্র করছেন এই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য।
বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করবেন, বন্ধুত্ব পাবেন উল্লেখ করে মমিনুল হক বলেন, এই দেশে সকল ধর্মের মানুষ একসাথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করতে হবে। কোন ধর্মের মানুষকে অবহেলা করবেন না বা নির্যাতন করবেন না। সকলেই একসাথে বন্ধু হয়ে থাকবেন। হাসিনা সরকারের সময় সব থেকে বেশি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়েছে। এমনটা যেন এই বাংলাদেশে আর কখনো না হয়। আমরা সকলেই একসাথে থাকবো এই দেশে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গোটা দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকতে চেয়েছিল। হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে যে এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আওয়ামী লীগের মতো মোনাফেক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না। এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দেয়নি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বিতাড়িত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমেদ সাঈফী এর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস এর যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন।
