শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর: সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে একই ঘটনায় দিনাজপুরে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগষ্ট) রাতে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম (৩২)।
এই মামলায় সাবেকহুইপ ইকবালুর রহিমসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।
এর আগে ১৯ আগস্ট রবিউল ইসলাম রাহুলকে হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন দিনাজপুর জেলা যুবদলের নেতা রুহান হোসেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন-জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহ আলম, মোঃ আশরাফুল আলম রমজান, মানিক রঞ্জন বসাক, যুবলীগ নেতা মোঃ মিথুন, সুইট, ওবাইদুর রহমান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মকছেদ আলী রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামানসহ ৩১ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট সকাল থেকে সারা দেশের মতো দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। সেই আন্দোলনে রবিউল ইসলাম রহিুলও অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার মোড় ও জিলা স্কুলের সামনের সড়কে পৌঁছালে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের পরোক্ষ মদদ ও উস্কানিতে তাঁর লোকজন হামলা চালান। হামলাকারীদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও ক্ষতকর রাসায়নিক দ্রব্য ছিল। হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়লে রবিউল ইসলাম রাহুল দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কঝে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট রবিউল ইসলাম রাহুল মারা যান।
নিহত রবিউল ইসলাম রাহুল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন। শটগানের গুলিতে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুসনদে উল্লেখ করেছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্য ও ভয়ভীতির অপরাধসংক্রান্ত ধারায় রোববার বিকেলে একটি মামলা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত রবিউল ইসলামের বড় ভাই মামলাটি করেছেন।