রকমারি ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত এক সম্পর্কের নাম ‘সুগার ড্যাডি’। এই শব্দটি এমন একজন পুরুষের জন্য ব্যবহৃত হয় যে নিজে বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও একটি অল্পবয়সী মেয়ের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তাকে আর্থিক সহায়তাও দেয়। এটি সমাজের ইতিবাচক সম্পর্কের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে।
‘সুগার ড্যাডি’ আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয় এবং যার পরিবর্তে তরুণ সঙ্গীর কাছ থেকে বন্ধুত্ব বা কখনো কখনও মানসিক বা শারীরিক সন্তুষ্টি লাভ করে। এই সম্পর্কটি একটি সাধারণ রোমান্টিক সম্পর্কের থেকে আলাদা হয় এবং মানসিক সংযোগের মধ্যে একটি স্পষ্ট ভারসাম্য রয়েছে।
বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘সুগার ড্যাডি’ ধারণা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশেও এর প্রবণতা বাড়ছে; প্রায়ই মডেল ও নায়িকাদের মুখে এই সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিশেষ করে ডেটিং অ্যাপগুলো এই প্রবণতা বা ট্রেন্ডকে আরো বেশি প্রচার করেছে। ইন্টারনেট সহজলভ্যতায় এখন সুগার ড্যাডি এবং সুগার বেবি সহজেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
সুগার ড্যাডিদের এত চাহিদা কেন?
বর্তমান যুগের অনেক তরুণীই প্রজন্ম দ্রুত তাদের জীবনে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও স্বাধীনতা অর্জন করতে চায়। অনেকে আর্থিকভাবে চাপ অনুভব করে, বিশেষ করে ব্যয়বহুল শিক্ষা, জীবনধারা এবং ক্যারিয়ারের প্রতিযোগিতার কারণে। এমতাবস্থায় সুগার ড্যাডির সঙ্গে সম্পর্ক তাদের আর্থিক চাহিদা পূরণের উপায় হয়ে দাঁড়ায়।
অনেক তরুণীই একটি উন্নত জীবনযাত্রার স্বপ্ন দেখে, যার মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি, দামি পোশাক এবং বিশ্ব ভ্রমণ। সুগার ড্যাডির সঙ্গে সম্পর্ক তাদের এই সমস্ত শখ ও স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করে। সুগার ড্যাডি-সুগার বেবি সম্পর্ক যেকোনো মানসিক দায়িত্ব থেকে মুক্ত, যা এটিকে সাধারণ সম্পর্ক থেকে আলাদা করে তোলে।
সুগার ড্যাডি সংস্কৃতি সমাজের জন্য ক্ষতিকর
সুগার ড্যাডিরা কারো না কারো স্বামী, কারো না কারো পিতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরা নিজ স্ত্রীকে শুধু ঠকাচ্ছে না, সন্তানদের সঙ্গেও অন্যায় করছে। একইভাবে, যে তরুণী সুগার ড্যাডিতে আসক্ত, তারও পরিবার আছে। এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কের সাথে অন্যায় করছে। এ সম্পর্ক যেন অনুভূতিহীন একটি ‘ডামি’।