আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ● ১৪ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৯ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুর রাইডার্সের হেড কোচ মিকি আর্থার       বেরোবির ব্যবহৃত উপহারের বাস বিক্রির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন       ইসি গঠনে ‘আজকালের মধ্যে’ সার্চ কমিটি: আসিফ নজরুল       চুইঝালের কদর বাড়ছে চাহিদা       স্ত্রীকে হত্যার পর মায়ের গলায় ছুরি ধরলেন যুবলীগ নেতা      

 width=
 

স্ত্রীকে হত্যার পর মায়ের গলায় ছুরি ধরলেন যুবলীগ নেতা

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ০১:৩৬

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের মাকেও কুপিয়ে আহত করেছেন এক যুবলীগ নেতা। মাকে রুমে জিম্মি করে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মাকে জীবিত উদ্ধার ও ঘাতককে আটক করা হয়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ এলাকায় নাসির চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঐ যুবলীগ নেতার নাম জমির উদ্দিন। তিনি সৈয়দাবাদ এলাকার নাসির চৌধুরীর ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

নিহতের নাম বিউটি আক্তার। তিনি একই উপজেলার বৈলতলী এলাকার শফিক উল্লাহের মেয়ে। আহত মায়ের নাম শামসুন নাহার। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি ফিরে নিজ রুমে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন জমির উদ্দিন। এ সময় মা বাঁধা দিলে মা ও স্ত্রী দুজনকেই রুমে আটকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। এরপর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা এবং মাকে মাথায় ও হাতে কুপিয়ে আহত করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত হলে মায়ের গলায় ছুরি ধরা ব্যক্তিকে আটক করা হলে মাকে হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন তিনি। পরে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা বাড়িটি ঘিরে রেখে রাত ৯টার দিকে প্রথমে মাকে উদ্ধার এবং পরে জমিরকে আটক করে পুলিশ।

 

জমির উদ্দিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি কয়েক মাস ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

 

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহান বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিউটি আক্তারকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী জমির উদ্দিন। এরপর তিনি মাকে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা ছুরি ধরে একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নানা কৌশলে প্রথমে জিম্মি মাকে উদ্ধার করে। এরপর জমির উদ্দিনকে আটক করা হয়।

 

চন্দনাইশ থানার ওসি ইমরান আল হোসাইন বলেন, দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে অবরুদ্ধ মাকে উদ্ধার, আসামি আটক ও লাশ উদ্ধার করি। আটক জমির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এদিকে, আহত শামসুন নাহারকে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied