জেলা প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অটোরিকশার চাঁদা আদায়ের জেরে হত্যার শিকার একরামুল হক (৩৫) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে লামনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন (৩৭), একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে নুর হাই (৪০) এবং মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২৮)। রায় ঘোষণার সময় নুর হাই ছাড়া অন্য আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মামলার অপর ৬ জন আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গত ২০২০ সালের ১০ জুলাই সকালে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শামীম হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে একরামুল হককে রমনীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেইদিন থেকে নিখোঁজ ছিল একরামুল। এর সাতদিন পর সানিয়াজান নদীর ধারে একটি ধান ক্ষেত থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন (৩১) বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় শামীম, নুর হাই এবং সবুজের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অটো রিক্সা থেকে চাঁদা আদায়ের জেরে একরামুলের সাথে বিরোধ ছিল শামীম সহ অন্য আসামীদের। এরপর গত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত সবুজ সহ ৬ জনকে খালাস দিয়ে শামীম, নুর হাই এবং কবিরকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন।
লালমনিরহাট আদালতের সরকারি কৌসুলি এ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।