নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে একটি ছবি। যেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছেলে হাতে হাতকড়াসহ মায়ের লাশ কবর দিতে নিয়ে যাচ্ছে। সেই ছেলেটি আর কেউ নয়, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ।
জাহাঙ্গীরের মায়ের মৃত্যু এবং জানাজায় অংশগ্রহণের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এটি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। বিশেষ করে হাতকড়া পরেই তার মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়া নিয়ে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছেন। মায়ের মৃত্যুতে কারাগার থেকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। তবে জানাজার সময় তার হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়নি। হাতকড়া পরেই তিনি মায়ের মরদেহ কাঁধে করে কবরস্থানে নিয়ে যান।
জানা গেছে, ১২ নভেম্বর থেকে জাহাঙ্গীর চুয়াডাঙ্গা জেলে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সংঘর্ষের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মায়ের মৃত্যুর পর পুলিশ লাইনের একটি টিম তাকে প্যারোলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে জানাজার সময় তার হাতকড়া খোলা হয়নি, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেকেই সমালোচনা করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
জাহাঙ্গীরের মামা আলাউদ্দিন জানান, আমার বোন আগে স্ট্রোক করে সম্ভবত মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। জাহাঙ্গীর তার মায়ের জানাজায় অংশ নিয়ে মোনাজাত করতে পেরেছে, এতেই আমরা সন্তুষ্ট।"
জাহাঙ্গীরের মায়ের মৃত্যু এবং জানাজায় অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এটি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। বিশেষ করে হাতকড়া পরেই তার মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়া নিয়ে।