আর্কাইভ  বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ২৩ মাঘ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অপহরনে নয়দিন পর শ্যালিকার আত্নহত্যা, দুলাভাই গ্রেপ্তার

বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪, বিকাল ০৭:৫৩

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ জেলার ডোমারে অপহরণের ৯ দিন পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক কিশোরীর (১৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম ফুলুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম ডোমার উপজেলার বোটের পাড় এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে। 
এর আগে গত মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) দুপুরে আশরাফুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ডোমার থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার(৩ জানুয়ারি) ওই কিশোরীর মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয় জেলার মর্গে। 
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ওই কিশোরীর বড় বোনের সঙ্গে আশরাফুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। মা ওমানে অবস্থান করায় বড় বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতো ওই কিশোরী। এই সুবাধে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ফুঁসলিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন দুলাভাই আশরাফুল। এরপর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ভোরে ওই কিশোরীর বড় বোন ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখেন যে তার বোন শোয়ার ঘরে নেই। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে ঘটনার ৪-৫ দিন আগে আশরাফুল ঢাকায় কাজ করার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যান। ওই কিশোরীর পরিবারের অন্যান্য লোকজন খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন যে, আশরাফুল আসলে ঢাকায় না গিয়ে তার ভাই রবিউল ইসলাম ও হাছানুল ইসলামের সহায়তায় ২৩ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এরপর পরিবারের লোকজন আশরাফুলের ভাইদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও ফিরিয়ে দেননি আশরাফুল। এসব ঘটনা শুনে মেয়েটির মা ওমান থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর ডোমারে এসে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আশরাফুলের নম্বরটি বন্ধ পান তিনি। 
এরপর ১ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে আশরাফুল মেয়েটির মামা শরিয়তকে ফোনে করে জানান যে, সে (ওই কিশোরী) বিষপান করে আত্নহত্যা করেছে। তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই কিশোরীর মা বলেন, আশরাফুল ও তার ভাই মিলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। আশরাফুল আমার মেয়ের সম্ভ্রমহানি করেছে এজন্য আমার মেয়ে আতœহত্যা করেছে। আশরাফুল ও তার ভাইয়েরা কৌশলে আমার মেয়ের মরদেহ রংপুর মেডিকেলে ফেলে পালিয়েছে। এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা। 
ডোমার থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আশরাফুল ইসলামকে রংপুরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য করুন


বাণিজ্যিক বিভাগ
নেওর ভবন (২য় তলা), স্টেশন রোড (সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে), রংপুর।
বার্তা বিভাগ
উৎসর্গ ভবন (৪র্থ তলা), স্টেশন রোড, রংপুর।
ই-মেইলঃ: uttorbangla@gmail.com
© 2012 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | উত্তরবাংলা ডটকম এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, ছবি পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।
Privacy Policy | Terms of Service | About Us
Link copied