আর্কাইভ  বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ২৩ মাঘ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফুলবাড়ীতে ৪০ দিনেও এক ছটাক ধান সংগ্রহ হয়নি

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ০৬:৫৪

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :খোলা বাজারের চেয়ে সরকারী গুদামে ধানের দাম কম হওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উজেলায় সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ঝুলে গেছে। সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শেষের দিকে হলেও গত ৪২ দিনে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।  যার ক্রয়ের সময়সীমা  নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্যগুদামে বরাদ্দ্ দেওয়া হয়েছে ৭৯৫ মে.টন সিদ্ধ চাল ও আতব চাল ৮৪ মে. টন। ধানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৭৪৮ মে. টন। সে অনুয়াযী উপজেলার ১৯টি চাতাল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়। 
 
গত ৫ই ডিসেম্বর উপজেলায় ধান চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। তখন থেকে চাতাল মালিকগণ চাল দিয়ে আসলেও গুদামে পড়েনি কোন ধান।  বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত চাল খাদ্যগুদামে সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৭শ মে.টন।
 সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে  কেজি প্রতি চাল ৪৭ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকা। তার পরেও পাওয়া যাচ্ছে না ধান।

আশিক চালকল মালিক আলহাজ  আলতাফ আলী সরকার জানান, ১১ মে. টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। কষ্ট হলেও খাদ্যগুদামে সে চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার গুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ধান দিচ্ছে না।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, ধান চাল সংগ্রহের জন্য অফিসে প্রতিদিন বসে থাকি। চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছি ধান সংগ্রহের জন্য। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭শ মে. টন চাল ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। কোনো ধান সংগ্রহ হয় নি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হামিদুল ইসলাম জানান, উপজেলায়  সিদ্ধ চাল ৭৯৫ মে. টন ও আতব চাল ৮৪ মে. টন এবং ধান ৭৪৮ মে. টন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকার কৃষকদের মাধ্যমে ধান নেওয়ার কথা বললেও কৃষকরা যথা নিয়মে খাদ্যগুদামে ধান দিতে পাচ্ছেন না। তা ছাড়াও সরকারী দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি, সে কারণে চাল সংগ্রহ হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়নি। 

মন্তব্য করুন


Link copied