আর্কাইভ  বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ২৩ মাঘ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ১২:০০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলায় কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জ্বালানি তেল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও কৃষকরা। 
 
বুধবার শহরের সকল পেট্রোল পাম্পগুলো ১০ টার পর থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে পাম্পগুলোর সামনে তেল নেওয়ার জন্য ভির করে গাড়িগুলো। জেলার পেট্রোল পাম্প মালিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার কারণে সকাল থেকে সব পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। 
 
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাপেওএ) রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন এবং রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা বা নোটিশ ছাড়াই আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করেও এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। অতীতে কখনো এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। এতে পেট্রোল পাম্প মালিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।’
 
হঠাৎ করে পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন যানবাহনের চালক ও কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। 
 
ট্রাকচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘সকালে পাম্পে এসে দেখি বন্ধ। গাড়িতে তেল না থাকায় আটকে পড়েছি।’  এদিকে কৃষকরা জানান, জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ডিজেলের প্রয়োজন, কিন্তু পাম্প বন্ধ থাকায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। 
 
কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এই সময় বোরো ধানের জমিতে পানি দিতে হয়। কিন্তু ডিজেল পাচ্ছি না, এখন কীভাবে সেচ দেব। মোটরসাইকেল চালক ফারুক জানান, সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। গাড়িতে তেল নেই এখন পাম্পেও তেল দিচ্ছে না। দুরে কাজে যাবো কিভাবে এখন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করছি।
 
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।  সরকারি পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। 

মন্তব্য করুন


Link copied