স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী ৪৮ ঘন্টা তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী কৈমারী, শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ি ও গোলমুন্ডা ইউনিয়নে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের নেতৃত্বে গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, জলঢাকা পৌর বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম বাঙালি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ভুট্টু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নূর আলম, জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী, গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার জানান, রংপুর বিভাগের প্রধান নদী তিস্তা। উজানে ভারত গজলডোবা নামক স্থানে বাধ নির্মাণ করে থামিয়ে দিয়েছে নদীর গতি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিস্তাকে কেন্দ্র করে সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ নির্মান করেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর জেলায় সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শুস্ক মৌসুমে ভারত নদীর পানি প্রত্যাহার করায় কাঙ্খিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষ। অপরদিকে বর্ষায় পূর্ব সতর্কীকরণ ছাড়াই বাধ খুলে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। এতে করে প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীসহ কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট জেলার কয়েক লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। বিনষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল। নদীর পানি শূন্যতায় বেকার হয়ে পড়েছে মৎস্যজীবীরা। বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র ও পরিবেশ।
তিনি বলেন,‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড় হয়ে উঠবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির মতো সুন্দর নগরী। নদীর দুই পাশে ভরাট করে চীনের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুইপাড়ে পরিকল্পিত শহর, নদী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি সেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, ইপিজেড নির্মাণ, সোলার পাওয়ারপ্লান্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হবে। এই প্রকল্প ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এমন একটি প্রস্তাবও দিয়েছিল চীন। কিন্তু ভারতের মোদির বিরোধিতার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকার এটার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবাই এক হয়ে আওয়াজ তুলবো’।