আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ০৯:৫৯

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর রমজান ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। হু হু করে বাড়ে দাম। ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। ঘাটতি দেখা দেয় সরবরাহের। আসন্ন রমজান ঘিরে অতিপ্রয়োজনীয় ৯টি ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুর।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানি সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। যেখানে গড় আমদানি প্রবৃদ্ধি ৩৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই চার মাসে চিনি আমদানি ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে পণ্যটির আমদানি ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন। যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন।

সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। আগের অর্থবছরের চার মাসে যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে ছোলা আমদানি ৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৯ হাজার ৩২৯ মেট্রিক টন। মটর ডাল আমদানি ৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৪৯১ মেট্রিক টন।

অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন।

রসুন আমদানি ২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন। যা গত অর্থবছরের অক্টোবর-জানুয়ারিতে ছিল ৫০ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন। এসময়ে খেজুরের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন আর আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এই ৯টি পণ্যসহ ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে সার্কুলার জারি করে। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে।

এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি করা যাবে। এসব পদক্ষেপে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied