নিউজ ডেস্ক: ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন বাসযাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
ডাকাতির শিকার বাসটির যাত্রীরা জানান, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি বাস ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। পথে চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী ওঠেন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলে পৌঁছালে নতুন ওঠা যাত্রীসহ আরও কয়েকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। পরে তারা যাত্রীদের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে মির্জাপুর এলাকায় বাস থেকে নেমে যান। এসময় দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ডাকাতির ঘটনায় আটক বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জামিন পেলেও বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাসের যাত্রীরা মৌখিকভাবে পুলিশকে ডাকাতি হওয়ার কথা বলেছেন। অনেক যাত্রীই রাস্তায় নেমে গেছেন। দুই নারী যাত্রী থানায় এসেছিলেন। তাদের একজনের বাড়ি নাটোরের লালপুরে, আরেকজনের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ার দিকে। তারা তাদের নির্যাতনের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। তারা চলে গেছেন। তাদের ফোন নম্বরও তার কাছে নেই।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন নেলী বলেন, যেহেতু ঘটনাটি তাদের আওতার মধ্যে হয়নি এবং কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি, সে কারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বিষয়টি মির্জাপুর থানাকে জানানো হয়েছে। তারা যৌথভাবে বাস ডাকাতির বিষয়টি তদন্ত করছেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।