নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হেলমেট পরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই কর্মী। সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। ছবিতে আবার কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মীর শরীরের উন্মুক্ত অংশ। এই ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের খোরাক হয়েছে। আওয়ামী লীগের পেজের পোস্টটি শেয়ার করে ট্রল করছেন নেটিজেনরা।
এদিকে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলী নিয়ে আওয়ামী লীগের পেজে দেওয়া এই পোস্টে ৭ ঘণ্টায় ৪২ হাজার মানুষ রিঅ্যাক্ট করেছেন। যার মধ্যে ২১ হাজারই হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অনেকেই বলছেন, এখনো গণহত্যায় ব্যবহৃত হেলমেট ছাড়তে পারেনি আওয়ামী লীগ। হেলমেট পরে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেওয়া মাতৃভাষা আন্দোলনের শহীদদের অবমাননা বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। তীব্র সমালোচনার মুখে ৮ ঘণ্টার মাথায় পোস্টটি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
একই পেজে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পুস্পস্তবক অর্পণের একটি ছবি শেয়ার করা হয়। এই ছবিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পনকারীদের ছবি ব্লার করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ৭ কর্মী একটি গাছের ঢাল হাতে ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে জয় বাংলার স্লোগান দিয়ে চলে যায়। এটিকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি বলে প্রচার করে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ। যা নিয়েও হাস্যরসে মাতেন নেটিজেনরা।
এদিকে অমর একুশের প্রথম প্রহরে মাদারীপুরের কাশিয়ানীতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী একটি শহীদ মিনারের বেদীতে দাড়িয়ে আগুন জালিয়ে মিছিল করে। সেই ভিডিও শেয়ার করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন বলে প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ। এ ঘটনায় শহীদদের অবমাননা হয়েছে দাবি করে সমালোচনায় মুখর হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। শহীদদের সঙ্গে অবমাননার ঘটনায় বিচার চেয়েছেন অনেকে।
এদিকে অল্প কিছু দিন আগের প্রতাপশালী রাজনৈতিক দলটির মহান মাতৃভাষা দিবসে এসব জনবিচ্ছিন্ন এবং হাস্যকর কর্মসূচির চিত্র প্রকাশ করে জনসম্পৃক্ততা হারালে রাজনৈতিক দলগুলোর কি পরিণতি হয় রাজনীতিবিদদের সেই শিক্ষা নেওয়ারও আহ্বান জানান নেটিজেনরা।