স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের নৃ-সিংহ ব্রাক্ষ্মনপাড়া গ্রামে মুক্তা রানী চ্যার্টাজি (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সন্তানের মা হতে না পারায় মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শুক্রবার(২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা দিকে বাড়ির গোয়ালঘরে তীরে গলায় গামছা পেচিয়ে সবার অগোচরে আতœহত্যা করেন এই গৃহবধু। নিহত গৃহবধু ওই এলাকার কৃষ্ণ রায় চ্যার্টাজি স্ত্রী।
পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসী বলেন, দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মুক্তারানী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেটে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অস্ত্রোপচারের কারণে ভ্রƒণ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর চেষ্টা করেও তিনি আর মা হতে পারেননি। এতে মুক্তা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে ছিলেন। মাঝে মাঝে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে যেতেন। তারপর খুঁজে তাকে বাড়িতে ফেরত আনা হতো। স্বামী দিন মজুর হওয়ায় সব সময় বাড়িতে থাকতে পারতোনা। মানসিক সমস্যার কারনে গত ৩ ফেব্রুয়ারী স্বরস্বতী পূজার দিনও বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।