মহানগর প্রতিনিধি: পাঁচ দফা দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজের মূল ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহীদ মুখতার এলাহী চত্ত্বরে এসে সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে নগরীর কয়েকটি সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন রংপুর মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ, প্রাইম মেডিকেল কলেজ, আর্মি মেডিকেল কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ কলেজের ইন্টার্ণ চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রাইম মেডিকেল কলেজের ডা. আবির আহমেদ, কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ডা. মো. রাশিদ সাবাব, আর্মি মেডিকেল কলেজের ডা. নাহিদ আল হাসান, প্রাইম মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সিবগাতুল ইসলামসহ অন্যরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হটকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। পাঁচ বছর মেডিকেলের পড়াশোনা ও এক বছর ইন্টার্নশীপ করে নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারি। সেখানে তিন মাস বা ছয় মাসের একটি কোর্স করে কিভাবে ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীরা এ পদবী ব্যবহার করতে পারেন। এটা শুধু চিকিৎসক সমাজের জন্য নয় বরং পুরো স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ে বড় একটি চক্রান্ত করা হচ্ছে।
তারা বলেন, সাধারণ মানুষ ম্যাটস ও ডিএমএফ চিকিৎসকদের কাছে ভুল চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ হয়ে যান আর দোষ হয় চিকিৎসকদের। দেশের সাধারণ মানুষকে আমরা জানাতে চাই যে কারা সত্যিকারের চিকিৎসক আর কারা ভুয়া চিকিৎসক।
এ সময় কর্মসূচিতে বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রীধারীদের দেওয়া এবং বিএমডিসি থেকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অবিলম্বে বন্ধ করা, স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শুন্য পদ পূরণ, আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মত ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দেয়া, প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখা, ডাক্তারদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর করা, সকল ম্যাটস ও মানহীন সরকারী-বেসরকারী মেডিকেল কলেজ বন্ধসহ ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদান, ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিক্সে প্রবেশ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ম্যাটস বন্ধ করা এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।