আর্কাইভ  রবিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি

গ্রেফতারের পর দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তি, একজন রিমান্ডে

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ০৯:৪৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার গ্রেফতার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি না হওয়ায় গ্রেফতার অন্যজনকে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম।

স্বীকারোক্তি দেওয়া দুজন হচ্ছেন, শরীয়তপুরের জাজিরার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল­ার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভারের টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান শরীফ (২৮)।

এদিকে গ্রেফতার আরেক ডাকাত মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদরের লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিতকে (৩০) ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। 

পরে আদালত ৫ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই আহসানুজ্জামান জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া সবুজ ও শরীফের এটাই প্রথম ডাকাতির ঘটনা। 

তারা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, রিমান্ডে থাকা মুহিত এবং তারা দুজন ছাড়াও ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় শ্যালক-দুলাভাইসহ আরও চারজন জড়িত। বাসে ডাকাতির সময় দুই নারী যাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন অলংকার ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তাদের শ্লীলতাহানি করেন তারা। তবে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া মুহিত দুটি বাসসহ ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি।

এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied