বেরোবি প্রতিনিধি: আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই বিষয়ে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। ফলস্বরূপ ব্যহত হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস ও পরীক্ষা।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই অভ্যুত্থানে হামলাকারী ৭১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ইংরেজি বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থী মো. জিহাদুল্লাহ ও তপন চৌধুরী গত বছরের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন। ফলে ৮ আগস্ট ২০২৪ থেকে তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি বিভাগীয় প্রধানের কাছে পৌঁছায় ১৯ জানুয়ারি ২০২৫।
কিন্তু অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী নিষেধাজ্ঞার পরও একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন এবং ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রশাসনের পাঠানো চিঠিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ কার্যকরের সময়সীমা এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর ব্যাচ সংক্রান্ত বিষয় স্পষ্ট করা হয়নি। এছাড়া, তাদের ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল বাতিল করা হবে কি না, সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা নেই। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ইংরেজি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমাদের ব্যাচের অভিযুক্তরা আমাদের সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না, এটা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে আমাদের পরীক্ষাগুলো কেন বন্ধ রাখা হয়েছে? আমাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের, কিন্তু তারা কোনো অগ্রগতি দেখাচ্ছে না।"
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসিফ আল মতিন জানান, "প্রশাসনের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য আবেদন করেছি এবং তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও রুটিনসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের দিকনির্দেশনা পেলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।"