নিউজ ডেস্ক:
ভেঙে গেল ১২ দলীয় জোট। একই সঙ্গে ১২ দলীয় জোট বিলুপ্ত ঘোষণা করলেন জোটের প্রধান জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। গতকাল দলীয় চেয়ারম্যানের রাজধানীর খিলগাঁও কার্যালয়ে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জোট বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও বিএনপির নেতৃত্বে আগামী দিনে সব আন্দোলন-সংগ্রামে জাতীয় পার্টি অংশীজন হিসেবে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে থাকার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোস্তফা জামাল হায়দার।
উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব সাবেক এমপি আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নোয়াব আলী আব্বাস খান, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা আহসান, আলহাজ সেলিম মাস্টার, ব্যারিস্টার মোস্তফা হায়দার জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মাওলানা রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম, কাজী মো. নজরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মিয়া, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক লোকমান পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, যুবসংহতির আহ্বায়ক রইস উদ্দিন, সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন সরকার প্রমুখ। এ ব্যাপারে আহসান হাবিব লিংকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১২ দলীয় জোটের কতিপয় নামসর্বস্ব নেতার কার্যকলাপ নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় আজ থেকে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট থেকে জাতীয় পার্টি বেরিয়ে এককভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। একই সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করার জন্য মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি রাজপথে লড়াই অব্যাহত রাখবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার অনুষ্ঠিত দলের জরুরি সভায় জাতীয় পার্টির নেতারা ১২ দলীয় জোটের দীর্ঘদিনের কার্যকলাপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে জোটের কয়েকজন নামসর্বস্ব নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এ সময় সব নেতা মোস্তফা জামাল হায়দারকে ১২ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আসতে চাপ সৃষ্টি করেন। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ দলীয় জোট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।