শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর: দিনাজপুরে বিয়ের তিন দিনের মাথায় নববধূকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ভোর ৩ টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ তানিয়া আক্তার (১৮) পার্বতীপুর উপজেলার কুড়িয়াইল গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে তানিয়ার সঙ্গে চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের পর শনিবার নতুন স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন আব্দুর রহিম।
রবিবার রাত শেষে ভোর ৩ টার দিকে নিজ ঘরে নববধূকে গলা টিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীরা এ সময় স্বামী আব্দুর রহিমকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরত হাল শেষে ঘাতককে আটক করে। এই ঘটনায় সোমবার সকালে নিহত গৃহবধূর বাবা আবু তালেব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত গৃহবধূর মা মনজিলা বেগম জানান, গত ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে তার মেয়ে তানিয়া আকতারের বিয়ে হয়েছে। গত ৮ মার্চ (শনিবার) জামাইসহ মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেছে। তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
মামলার বাদী নিহত গৃহবধূর বাবা আবু তালেব জানান, মেয়েকে তার জামাই হত্যা করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার ওসি (তদন্ত) এস এম আহসান হাবীব জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক স্বামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় আসামিকে গ্রেফতার করে দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।