আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৪ মার্চ ২০২৫ ● ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৪ মার্চ ২০২৫

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, রাত ১১:০৭

বেরোবি: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা আদায় করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এর আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায়  বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আট বছরের শিশু মৃত্যু মৃত্যুবরণ করে।  

জানাজায় অংশ নেওয়া বিক্ষোভ সমাবেশে বেরোবি শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়।’  

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী  সুমন সরকার বলেন, ‘আছিয়ার ঘটনা সমাজের নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়কে তুলে ধরে।

ধর্ষণের পর শিশুটি গুরুতর আহত হলে তাকে চিকিৎসার পরিবর্তে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।   ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারীর মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এরপর আছিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।  

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন আছিয়ার মা। এ মামলায় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। শিশুটির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানা গেছে।  

শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন শুধু আছিয়ার প্রতি সমবেদনা জানানোই নয়, বরং ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও ন্যায়বিচারের দাবিকে জোরালো করার একটি উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন


Link copied