আর্কাইভ  সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ● ৩ চৈত্র ১৪৩১
আর্কাইভ   সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫

রংপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া কারাগারে

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, দুপুর ০৩:৫৫

Ad

Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: মাদক ব্যবসা করে রংপুর অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আদালত।

সোমবার (১৭ মার্চ) ‍দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির এর আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক ব্যবসা করে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের দায়ে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। সেই মামলায় মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলা সুত্রে জানা যায়, রংপুর-রাজশাহী বিভাগের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ২১ নম্বর মাদকব্যবসায়ী মজনু মিয়া। তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক জীবনে তার দুই স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের তথ্য যাচাই বাচাই করেন এবং প্রাথমিকভাবে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পান। পরে তাকে সম্পদের তথ্য দাখিলের জন্য বলা হলে মজনু মিয়া নিজ সাক্ষরে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তার স্থাবর ও স্থাবর মোট সম্পদ ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। এরমধ্যে তার বৈধ আয় ৭ লাখ ৩৮ হাজার এবং অবৈধভাবে ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ টাকা মাদকের ব্যবসা করে তিনি আয় করেছেন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধান করেন অবৈধ সম্পদ খোঁজ পান। এই অবৈধ আয় অজর্নের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) এর ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনেরে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। 

মামলা হওয়ার পর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন রংপুর-রাজশাহী অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া। আসামী পক্ষে জামিনের আবেদন করেন এডভোকেট সন্তোষ কুমার সরকার। আর সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, রংপুরের পাবলিক প্রসিকিউটার এ্যাড. মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার ও দুনীতি কমিশন পিপি অ্যাডভোকেট হারুন-উর-রশিদ। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মন্তব্য করুন


Link copied