বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সমন্বয়কদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণ ইফতারে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ইফতার না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে আয়োজিত এই ইফতারে প্রত্যাশিত পরিমাণ খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় হাজারো শিক্ষার্থী ইফতার ছাড়াই ফিরতে হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা বিকেল ৪টা থেকেই ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ইফতার সামগ্রী নেই। হতাশ হয়ে অনেকেই ইফতার না পেয়েই ফিরে যান। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়োজকদের সমালোচনা করছেন।
মোস্তফা কামাল নামে এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “গণ ইফতারের নামে এভাবে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের অপমানিত না করলেও পারতো।”
রবীন ইসলাম সৌখিন নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “জুলাই অভ্যূত্থানের পর বেরোবির শিক্ষার্থীদের খালি চাপাবাজি, প্রোগ্রাম আর চেতনা দেখতেছি। সবকিছু এখন থামানো উচিৎ। বাঙালিকে খুব বেশী স্বাধীনতা দেয়া তো উচিৎ না। তার উপর আমরা আবার বেরোবিয়ান। আমাদের সেটা কোনভাবেই উচিত না।”
অন্যদিকে, সুফিয়ান সরকার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “ওনাদের (সমন্বয়ক) মাথায় এটা ছিল না যে, ইফতার সময় মতো করতে হয়। পিছনে তো বহু মানুষ ১০ মিনিট আগে থেকে ফিরে যাওয়া শুরু করছে। প্রায় অর্ধেক মানুষই না পেয়ে চলে গেছে। এই দৃশ্যটা যে কতটা করুণ কি বলবো ভাই। আপনি বসে আছেন ইফতারের জন্য অথচ আপনি কিছু পাননি। শেষ সময়ে উঠে আসা লজ্জাজনক অবস্থা। ইফতারের আয়োজন করেছেন এটা প্রথম দিনের অবস্থা বুঝেই আয়োজন করা উচিত ছিল। বেশিরভাগ মানুষ ফিরে আসছে।”
উল্লেখ্য, সমন্বয়করা কয়েকদিন ধরে এই গণ ইফতারের প্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ইফতার না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় তুলেছে।