নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম ডা. সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও কভিড চলাকালীন প্রতারণার মামলায় জেল খেটেছেন। বর্তমানে আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি।
বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়। অভিনয় করেছেন একটি নাটকেও।
সম্প্রতি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন সাবরিনা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা প্রসঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তার মেহেদি রাঙানো হাতে লেখা ছিল ‘কায়েস’ নামটি, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, সেটি তার বর্তমান তথা তৃতীয় স্বামীর নাম।
ডা. সাবরিনা বলেন, “হ্যাঁ, এটা আমার স্বামীর নাম। তবে এটি কোনো বিয়ের মেহেদি না, আমি ইচ্ছে করেই লিখেছি। আমি শাড়ি পড়ে গাড়ি পরিষ্কার করি, ওয়েস্টার্ন পোশাকেও করি। নিজের কাজ নিজেই করি, ভিডিও করি কারণ এটা আমার রুটিনের অংশ।”
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবরিনা বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিয়ে করেছি। আমার প্রথম বিয়ে অনেক ছোটবেলায় হয়েছিল, আমি তখন এমবিবিএসের প্রথম বর্ষে ছিলাম। বাবা মা বাচ্চাদের বড় হতে দেন না, আমিও তেমন অবস্থায় ছিলাম।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তার কিছু ভিডিও এবং নেতিবাচক মন্তব্য নিয়েও কথা বলেন তিনি।
সাবরিনা বলেন, “মানুষ যখন ইবাদত করে তখন ভিডিও করে না, তাই বলে কি সে ইবাদত করে না? আমি যেটা দেখাচ্ছি, কেবল সেটাই যে করি, এমন না। তবে হ্যাঁ, আমি নিজের কাজ করি এবং মানুষ সেটা দেখছে। ভাইরাল হলে ক্ষতি কী?”
করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন ডা. সাবরিনা। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন ডা. সাবরিনা।