আর্কাইভ  সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ● ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫

হাটহাজারীতে ডাবল মার্ডার: শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ রিমান্ডে

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১০:০২

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে হাটহাজারী থানার একটি খুনের মামলায় তিনদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ। 

তিনি জানান, গত বছরের ২৯ আগস্ট ডাবল মার্ডারের একটি ঘটনা ঘটেছিল। যারমধ্যে একটি পড়েছে হাটহাজারীতে। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে।ছোট সাজ্জাদ ও আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা। 

এ ঘটনায় মাসুদ কায়ছারের ছোট ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে সাজ্জাদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। ওই সময় গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। 

পরে একই থানার ওসিকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহের মাথায় ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুজন নিহত হয়। 

জোড়া খুনের ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য করুন


Link copied